ইত্তেফাক ::
শত শত বছর ধরে সুখী দাম্পত্যের খোঁজ করে চলেছেন লক্ষ লক্ষ দম্পতি। কিন্তু সবার জীবনে সে সুখ মেলে না, অধরাই থেকে যায়। তুচ্ছ ঘটনা থেকে শুরু করে গুরুতর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিষিয়ে ওঠে অনেক দম্পতির জীবন। খুবই অপ্রত্যাশিতভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকে, যার ফলাফল হয়ে দাঁড়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ।
সংসার এক বছরের হোক বা দশ বছরের, তা ভাঙার সময়ে মনের উপরে চাপ পড়াটাই স্বাভাবিক। তবে একটি সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে বলে নিজেকে সবার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নেবেন না। খেয়াল রাখুন, এই ঘটনার প্রভাব যেনো অন্য সব সম্পর্কে না পড়ে।
বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে সবের আগে আসে সন্তানদের বিষয়টি। বাবা-মা একসঙ্গে থাকবেন না বলে যেনো তাদের কোনো একজনকে বেছে নিতে না হয়। এটি দুঃখজনক। শিশুদের বাবা ও মা, দুই জনকেই প্রয়োজন। একটি সংসার ভেঙে দুটি হলে, শিশুরা কোনো একটিতেই থাকবে। হয় মা, না হয় বাবার সঙ্গে কাটবে তাদের বেশি সময়। তবে তার মানে যেনো এমনটা না হয়, অন্য জনের কাছে যেতেই পারল না তারা। এতে তাদের মানসিক অবস্থার অবনতি হবে দিনকে দিন।
বন্ধুদের বিষয়টিও তেমন। দুজন মানুষ একসঙ্গে থাকলে একে অপরের বন্ধুদের সঙ্গেও সম্পর্ক তৈরি হয়। বিয়ে ভাঙছে মানে প্রাক্তন স্বামী বা স্ত্রীর বন্ধুর সঙ্গেও আর যোগাযোগ রাখবেন না, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। এতে নিজের মানসিক চাপ বাড়বে। বরং এমন আচরণ করুন, যাতে পুরনো সব সম্পর্ক ভেঙে আসার প্রয়োজন না পড়ে।
সংসার করতে গিয়ে শ্বশুরবাড়ির অনেকের সঙ্গেও ভালো যোগাযোগ তৈরি হয়। তাদের সবার সঙ্গে যোগাযোগ একবারেই ত্যাগ করার প্রয়োজন নেই। বাড়ির বউ বা জামাই না হয়েও কিছু সম্পর্ক রাখা যায় নিশ্চয়। যদি শ্বশুরবাড়ির কোনো আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছা করে, তবে মনে দ্বিধা রাখবেন না। এতে করে মনে শান্তি খুঁজে ফিরে পেতেও পরেন।
পাঠকের মতামত